গাজা যুদ্ধের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার এক জরুরি আহ্বান জানিয়েছেন। এতে তিনি গাজা, ইসরাইল এবং সমগ্র অঞ্চলে অবিলম্বে সব ধরনের শত্রুতা বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না যাতে সাধারণ মানুষকে নিজেদের জীবন ও ভবিষ্যৎ দিয়ে মূল্য দিতে হয়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ।
হামাস ও অন্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে গুতেরেস একই সঙ্গে গাজায় এখনো আটক সব জিম্মিকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, সব পক্ষের জন্যই এই কষ্টের অবসান ঘটান। এটি এমন এক মানবিক বিপর্যয় যার মাত্রা কল্পনাকেও হার মানায়।
দুই বছর আগে হামাসের হামলায় ১২৫০ জনেরও বেশি ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়। ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ- যার মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্কও ছিলেন অপহৃত হয়। তাদেরকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এর জবাবে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তার বেশির ভাগই নারী ও শিশু। লাখ লাখমানুষ আহত হয়েছেন।
জাতিসংঘের মতে, এই সংখ্যা বাস্তবের তুলনায় কম। কারণ হাজার হাজার মৃতদেহ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারে। গুতেরেস বলেন, সেই অন্ধকার দিনের ভয়াবহতা আমাদের সবার স্মৃতিতে চিরকাল অঙ্কিত থাকবে। দুই বছর পরও জিম্মিরা এখনো অমানবিক অবস্থায় বন্দি। আমি জিম্মিদের পরিবার ও বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তাদের অসহনীয় যন্ত্রণা অকথ্য। তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে আহ্বান জানান জিম্মিদের অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিন। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও একটি বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করুন, যাতে আর কোনো রক্তপাত না ঘটে।
গুতেরেস বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শান্তি প্রস্তাব এই মর্মান্তিক সংঘাতের অবসানের একটি সুযোগ, যা কাজে লাগাতে হবে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের শাসন সব সময় সম্মানিত হতে হবে এবং জাতিসংঘ শান্তি প্রচেষ্টায় তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে।